রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঈদ মেলার নামে মাস ব্যাপি জুয়া ও অশ্লীন নাচ-গানের আসর শুরু হয়েছে। সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই মেলার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে স্থানীয় মৎস্যজীবি চাষীদের আয়োজনে গত ৯ জুন উপজেলার কার্তিকপাড়া বাজারের পশ্চিম পাশে মাস ব্যাপি এই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। এরপর ১১ জুন সন্ধ্যা থেকে মেলার নামে অশ্লীন নাচ-গান ও জুয়ার আসর শুরু করা হয়। সংশ্লিষ্ঠ মেলার আয়োজক কমিটির একজন সদস্য বলেন, জেলা প্রশাসকের নিকট আমরা এক মাসের জন্য ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি নিয়েছি। মেলার পাশাপাশি লটারী, নাচ-গান, সার্কাস, দাব্বা ও হাউজিও এখানে চলবে। বর্তমানে হাউজি ছাড়া বাকি সব গুলো খেলা শুরু হয়েছে। তবে আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ গুলো চালাচ্ছি।
শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে দেখা গেছে, শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া বাজারের পশ্চিম পাশে বিলের মধ্যে প্রায় ১০ একর জমিতে টিন দিয়ে ঘিরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় তেমন কোনো দোকানপাট না আসলেও সার্কাস ঘরে অশ্লীন নাচ দেখতে লোকজনের ভীড় দেখা গেছে। সার্কাস ঘরের পাশে দাব্বার ও তিন তাসের ঘর। পূর্বে র্যাফেল ড্র ও দক্ষিণে হাউজির মঞ্চ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী আজগর আলী বলেন, ঈদ মেলার নামে বিকাল থেকে ভোররাত পর্যন্ত অশ্লীন নাচ, জুয়া ও মাদকের আসর বসানো হয়েছে এখানে। আর এর উদ্বোধন করেছেন আমাদের বর্তমান এমপি সাহেব। এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জাজনক ঘটনা। মেলা ঘিরে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আড্ডা শুরু হয়েছে। একাধিক মাইকের শব্দে আসে পাশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার চরম ব্যঘাত ঘটছে।
এ ব্যপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, মেলার আয়োজক কমিটি লোকজন এক মাসের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে এর অনুমোদন এনেছেন। তবে আমি আয়োজক কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছি অনুমতির বাহিরে কোনো অসামাজিক কার্যক্রম বা জুয়া চলতে দেয়া হবে না। তারা এক-দুদিন লটারী চালিয়েছিল এখন বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যপারে পুঠিয়া-দুর্গাপুর সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমানের মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply